৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব

Bank Bima Shilpa    ০৭:০০ পিএম, ২০২০-০৬-১১    748


৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব


নিজস্ব প্রতিবেদক    

>> ঘাটতি ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা

>> জিডিপি আকার ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে স্থবির দেশের অর্থনীতি। এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের শিরোনাম— অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

এর আগে বাজেটে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাজেট অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুরে জতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগামী বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন।

বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে জরুরি এবং অপ্রত্যাশিত খরচ দেখা দিয়েছে তা মেটাতে এবং অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য উৎস থেকে ৪৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে এ ঘাটতি মেটানো হবে। এ হার গত বাজেটে ছিল জিডিপির ৫ শতাংশ।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে টালমাটাল দেশের অর্থনীতি। একের পর এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো। অনেকেই চাকরি হারিয়েছে। চাকরি হারাতে পারে দেড় কোটি মানুষ। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের সঞ্চয় প্রায় শেষ। প্রান্তিক মানুষ খাবারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এমন দুর্যোগের মধ্যে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের লক্ষ্য একটাই— টিকে থাকা। তাই এবারের বাজেটকে ঘিরে দেখা দিয়েছে বিপুল জন আকাঙ্ক্ষা আর প্রতিক্ষা। আর এ বাজেট উপস্থাপন শুরুর মধ্য দিয়ে সে প্রতিক্ষার শেষ হতে যাচ্ছে। বাজেট বক্তব্য পুরো শেষ হলে বোঝা যাবে বাজেট থেকে কী পেল জনগণ।

এদিকে বাজেটে কী বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বুধবার (১০ জুন) অর্থমন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, বাজেটে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে জরুরি, স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি সব ধরনের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী বাজেট করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কাজ করবে। এ বছর এক কঠিন সময়ে আমরা বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। তাই আগামী বাজেটের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে- দেশের মানুষের জীবন রক্ষা করা এবং সচল রাখা।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বাজেটে জরুরি, স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি সব ধরনের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে যাতে করে করোনায় যা ক্ষতি হয়েছে তা কমানো যায়। এ বাজেট দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বাজেট ডকুমেন্ট থেকে জানা গেছে, নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ব্যয় তথা আকার ধারা হচ্ছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার অঙ্কে যা ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বেশি। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়ায় ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।

করোনাভাইরাসের থাবায় থমকে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। দেশে ৬৬ দিন লকডাউন থাকার পর এখন সীমিত আকারে অফিস আদালত খুললেও করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগবে বলেই দেশীয় ও বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও আগামী বাজেটের আকার বা ব্যয় ও আয়ের লক্ষ্যমাত্রার দিকে নজর দিলে করোনার কোনো প্রভাবই পাওয়া যাবে না। তবে বাজেটে এ ধরনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণকে বাস্তবায়ন অযোগ্য বলছেন অর্থনীতিবিদরা। বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের অন্যতম প্রধান সংস্থা এনবিআরও বলছে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এদিকে করোনাকালীন এই দুঃসময়ে আয়ের মূল উৎস রাজস্ব আদায় তলানিতে ঠেকলেও বেড়েছে ব্যয়ের খাত। তাই আসছে বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। এছাড়া আগামী অর্থবছরে সরকার বৈদেশিক অনুদান পাবে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে সরকারের আয় হবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা।

এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত করসমূহ থেকে রাজস্বে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ব্যতীত রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। আয় ও ব্যয়ের এ বিশাল ফারাকে এবারই প্রথম দেশের ইতিহাসে মোট বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর আগের বছরগুলোতে সাধারণত জিডিপির ৫ শতাংশ হারে ঘাটতি ধরে বাজেট প্রণয়ন করা হতো।

আগামী (২০২০-২১) অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) যে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হচ্ছে তা অর্জন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তিনি বিষয়টি জানান।

তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সূচক বিবেচনায় নিয়ে গবেষণা ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে জানা যায় যে, চলতি অর্থবছরের শেষে সর্বমোট ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব অহরিত হতে পারে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, পূর্ববর্তী গড় প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ হিসেবে আগামী অর্থবছরের সর্বমোট রাজস্ব আহরণ ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে না। অর্থনীতিবিদরাও বলেছেন, রাজস্ব আদায়ের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।

আসছে বাজেটে সরকারের আয়

সরকারের মূল আয় হয় রাজস্ব আহরণের মধ্য দিয়ে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এটি আহরণ করে। এনবিআর বহির্ভূত কিছু কর ও কর ব্যতীত কিছু আয়ও হয়। আসছে বাজেটে সরকারের মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। এছাড়া আগামী অর্থবছরে সরকার বৈদেশিক অনুদান পাবে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে সরকারের আয় হবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা।

এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত করসমূহ থেকে রাজস্বে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ব্যতীত রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

এদিকে চলমান করোনাভাইরাসে সৃষ্ট অচলাবস্থার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আহরণে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২০ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা কাটছাঁট করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এতে সংশোধিত আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর আহরণ করবে তিন লাখ ১৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভূত উৎস থেকে আসবে ৪৪ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।

আসছে বাজেটে সরকারের মোট ব্যয়

এবারের বাজেটে সরকার মোট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। চলতি বাজেটে যা ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। আবার সংশোধিত বাজেটে সেটি কমিয়ে করা হয় ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।

এর মধ্যে আগামী বাজেটে সরকার পরিচালন ব্যয় বাবদ খরচ ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ রাখা হচ্ছে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৫ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। সম্পদ সংগ্রহ, ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও পূর্ত কাজ, শেয়ার ও ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ ইত্যাদি পরিচালন বাবদ মূলধন ব্যয় হিসেবে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। খাদ্য হিসাব বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৫৬৭ কোটি টাকা। সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে ঋণ ও অগ্রিম (নীট) বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৪ হাজার ২১০ কোটি টাকা।

এছাড়া উন্নয়ন ব্যয় বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এডিপি বহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত নয় এবং নিজস্ব উৎসের রাজস্ব থেকে অর্থায়নকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচি তথা স্কিম বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২ হাজার ৫২২ কোটি টাকা। এছাড়া এডিপি বহির্ভূত কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা।

ইতিহাসে এবারই প্রথম জিডিপির ৬ শতাংশ ঘাটতি

আয় ও ব্যয়ের এ বিশাল ফারাকের বাজেটে অনুদান ব্যতীত মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। তবে অনুদানসহ ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বাজেটে ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ ধরা হচ্ছে। এর আগের বছরগুলোতে সাধারণত জিডিপির ৫ শতাংশ হারে ঘাটতি ধরে বাজেট প্রণয়ন করা হতো।

এ বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার কোন খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে তারও একটি ছক তৈরি করেছে। ছক অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরের ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করবে, টাকার অঙ্কে যা ৮৮ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। তবে আগামী অর্থবছরে ১২ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বৈদেশি ঋণ পরিশোধ করতে চায় সরকার। তাই এক্ষেত্রে আগামী বাজেটে নীট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে (সংশোধিত) যা আছে ৫২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।

এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতির বড় একটি অংশ পূরণ করতে চায় সরকার। ব্যাংক খাত থেকে ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের জন্য সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিতে চায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে ঋণ নিতে চায় ৫ হাজার কোটি টাকা।

জিডিপি আকার ৩১৭১৮০০ কোটি টাকা

আগামী অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার। প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। তবে টাকার অঙ্কে সংশোধিত জিডিপির তুলনায় নতুন জিডিপি ৩ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেশি। চলতি বাজেটে (সংশোধিত) জিডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ লাখ ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

সার্বিক বাজেট বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রাজস্ব আহরণের গতি প্রকৃতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ভালো ছিল না। করোনা আসার পর তা বেশি খারাপ হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি বছর কোনো ধরনের সংস্কার ছাড়াই এনবিআরের জন্য বড় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। এক লাফে অর্থাৎ এক বছরে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা বাস্তবসম্মত নয়।

তিনি আরও বলেন, জিডিপির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা অর্জন সম্ভব নয়। এসব লক্ষ্যমাত্রা কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে এক হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে সরকারের বরাদ্দ ছিল ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা।


রিটেলেড নিউজ

জাতীয় প্রেসক্লাবের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে দৈনিক নিরপেক্ষ সংবাদ ও ব্যাংক বীমা শিল্প পত্রিকার শুভেচ্ছা

জাতীয় প্রেসক্লাবের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে দৈনিক নিরপেক্ষ সংবাদ ও ব্যাংক বীমা শিল্প পত্রিকার শুভেচ্ছা

Bank Bima Shilpa

  নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ১১ জানুয়ারী ২০২১ সদ্য নির্বাচিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সস্পাদককে ফুল... বিস্তারিত

 বিমানবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী

বিমানবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী

Bank Bima Shilpa

  নিজস্ব প্রতিবেদক     প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিমানবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে ... বিস্তারিত

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে: প্রধানমন্ত্রী  

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে: প্রধানমন্ত্রী  

Bank Bima Shilpa

  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সীমান্ত রক্ষা, মাদক, চোরাচালান সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব র... বিস্তারিত

২০২১ সালে সরকারি ছুটি ২২ দিন, ৭ দিন পড়েছে শুক্র-শনিতে

২০২১ সালে সরকারি ছুটি ২২ দিন, ৭ দিন পড়েছে শুক্র-শনিতে

Bank Bima Shilpa

নিজস্ব প্রতিবেদক     ২০২১ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। চলতি বছরের মতো আগা... বিস্তারিত

যেখান থেকে কম পয়সায় পাওয়া যায়, আমরা ভ্যাকসিন নেব

যেখান থেকে কম পয়সায় পাওয়া যায়, আমরা ভ্যাকসিন নেব

Bank Bima Shilpa

    দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বল... বিস্তারিত

প্রধানমন্ত্রী জিসিএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করবেন আজ

প্রধানমন্ত্রী জিসিএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করবেন আজ

Bank Bima Shilpa

  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যা... বিস্তারিত

সর্বশেষ

PSI of  Mir Akhter 31March 2024

PSI of Mir Akhter 31March 2024

Bank Bima Shilpa

PSI of  Mir Akhter 31March 2024 ... বিস্তারিত

ন্যাশনাল লাইফের স্বাস্থ্য বীমার ছায়াতলে বিকেএসপির খেলোয়ার

ন্যাশনাল লাইফের স্বাস্থ্য বীমার ছায়াতলে বিকেএসপির খেলোয়ার

Bank Bima Shilpa

বিবিএস নিউজ: বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির খেলোয়াড়দের গ্রুপ ও স্বাস্থ্য বীমা সুবি... বিস্তারিত

পপুলার লাইফের ৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বীমা দাবী পরিশোধ

পপুলার লাইফের ৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বীমা দাবী পরিশোধ

Bank Bima Shilpa

বিবিএস নিউজ : ধারাবাহিক বীমা দাবী পরিশোধের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী... বিস্তারিত

সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

Bank Bima Shilpa

নিজস্ব প্রতিবেদক// পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ননলাইফ বীমা কোম্পানী  সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কো... বিস্তারিত